আত্মগোপনে চলে গেছেন বাহিনীটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দিকনির্দেশনা না পেয়ে হতবিহ্বল পুলিশ সদস্যরা, স্থানে স্থানে আক্রান্তও হচ্ছেন তারা। জীবন বাঁচাতে অনেক পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে থানা থেকে পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটেছেন। উত্তেজিত জনতার হামলায় নিহত হয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। দেশের ৪৫০টি থানায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, থানা থেকে লুট হয়েছে কয়েক হাজার আগ্নেয়াস্ত্র।
মাঠপুলিশকে ঝুঁকিতে রেখে আত্মগোপনে চলে গেছেন বাহিনীটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দিকনির্দেশনা না পেয়ে হতবিহ্বল পুলিশ সদস্যরা, স্থানে স্থানে আক্রান্তও হচ্ছেন তারা। জীবন বাঁচাতে অনেক পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে থানা থেকে পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটেছেন। উত্তেজিত জনতার হামলায় নিহত হয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। দেশের ৪৫০টি থানায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, থানা থেকে লুট হয়েছে কয়েক হাজার আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে। ফলে ভেঙে পড়েছে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, জননিরাপত্তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। থানার নিরাপত্তায় আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীকে নিযুক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, গত দুই দিনে সারা দেশে সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ সদরদফতর। রাজধানীর বংশালসহ কয়েকটি থানায় আটকেপড়া পুলিশ সদস্যরা মধ্যরাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আশ্রয় নিয়েছেন। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অবস্থানরত প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্য গতকাল মঙ্গলবার সারাদিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন।
গত রোববার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর প্রায় একযোগে দেশের সব থানা ও পুলিশের ওপর হামলা করে উত্তেজিত জনতা। থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়, চলে লুটপাট। থানায় হামলার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি, সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এক দিনেই পুলিশসহ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ফরিদপুর সদরের এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত একাধিক বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। মধ্যরাতে তার বাড়িতেও হামলা করতে আসে বিভিন্ন লোকজন। পরে এলাকাবাসী তাদের বাধা দেয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর ৫১টি থানার মধ্যে ৪৭টি থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হামলা ঠেকাতে ও নিজেরা জীবন বাঁচাতে থানায় অবস্থান করা পুলিশ সদস্যরা নির্বিচারে গুলি ছুড়েছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকাল থেকে একের পর এক ম্যাসেজ আসতে থাকে ডিএমপি সদর দফরে। কিন্তু কোনো থানাতেই নিরাপত্তা দিতে পারেনি পুলিশ। অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তার মোবাইল খোলা পাওয়া গেলেও কারও সাড়া মেলেনি। পুলিশ শিগগির স্বাভাবিক দায়িত্বে ফেরার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি একেএম শহিদুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রমনায় পুলিশ অফিসার্স মেসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পুলিশের যে আইনকানুন, বিধি, নিয়ম-কানুন আছে, তার মধ্যে থেকেই আমরা খুব দ্রুত স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে আসতে এবং মানুষকে সেবা দিতে চাই। আমরা আশা করি বাংলাদেশ পুলিশের যে দায়িত্ব আছে, আমরা তা পালন করতে সক্ষম হব। পুলিশের কিছু কর্মকর্তা হয়তো মনের কষ্টে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা নিশ্চয়ই এ বিষয়টির সমাধান করতে পারব। পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজানো হবে। গতকাল দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য বিক্ষোভ করছেন। তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ খেয়েছে স্যারেরা, মরব কেন আমরা’সহ বিভিন্ন সেøাগান দিচ্ছিলেন। একাধিক পুলিশ সদস্য আমাদের সময়কে বলেন, গত সোমবার দুপুরের আগেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাঠ ছেড়ে চলে যান। শেখ হাসিনার পদত্যাগের গুঞ্জন শুরু হলে কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আমরা রাস্তায় কী করব বুঝতে পারি নাই। পরে নিরাপত্তার জন্য থানায় চলে যাই। দুপুর থেকে থানায় আক্রমণ শুরু হয়। আক্রমণ শুরুর পরপরই অনেকেই থানা থেকে সিভিল পোশাকে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। থানায় আটকেপড়া পুলিশ সদস্যরা আক্রান্ত হন। তারা গুলি করে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। তবে সব প্রতিরোধ ভেঙে পুলিশের ওপর চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানীর কয়েকটি থানায় অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য নিহত হন। যারা প্রতিরক্ষা করে বেঁচে ছিলেন, তারা মধ্যরাতে একসঙ্গে রাজারবাগ থানায় এসে আত্মরক্ষা করেন।
ডিএমপির মধ্যসারির একজন কর্মকর্তা বলেন, বিকাল হওয়ার আগেই ডিএমপির কমিশনার হাবিবুর রহমান তার কার্যালয় থেকে চলে যান। তিনি পুলিশ সদস্যদের কোনো দিকনির্দেশনা দিয়ে যাননি। ফলে মাঠপুলিশ তেমন কোনো দিকনির্দেশনা পায়নি। মাঠে কাজ করা হতবিহ্বল পুলিশ সদস্যরা অনেকেই পালিয়ে যান। আবার থানা আক্রান্ত হওয়ায় এলোপাতাড়ি গুলি চালান। উত্তেজিত জনতা থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। অনেক জায়গায় পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। বিশেষ করে যাত্রাবাড়ী থানায় পুলিশ আক্রান্ত হয় বেশি। নৃশংসভাবে পুলিশকে হত্যা করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যাত্রাবাড়ী থানায় হামলার প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। পুুলিশ বুকে ও মাথায় ঠেকিয়ে গুলি করেছে। ফলে যাদের পরিবারের সদস্য নিহত হয়েছে, তারাই উত্তেজিত ছিল বেশি। কাউকে শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। থানায় অগ্নিসংযোগ করে পিটিয়ে পুলিশকে হত্যা করেছে মানুষ। যারা পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন, তারাই শুধু বেঁচেছেন।
গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সঙ্গে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সহায়তা করছে। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা একান্ত কাম্য। পুলিশের চেইন অব কমান্ড ভেঙে যাওয়ার কথা বলেছেন ডিআইজি (চাকরিচ্যুত) খান সাঈদ হাসান। গতকাল দুপুরে রাজধানীর রমনার ইস্কাটন গার্ডেনে পুলিশ অফিসার্স মেসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবাই গা-ঢাকা দিয়েছেন। চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে। তাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি একেএম শহিদুর রহমানকে ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি ‘নির্যাতিত’ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের পক্ষে এ ঘোষণা দেন। বলেন, পুলিশের ৮০ শতাংশ সদস্য যারা নিরীহ ছিল তারা শুধু কমান্ড ফলো করেছে, তাদের কোনো দোষ নেই। কিছু কর্মকর্তার কারণে এসব নিরীহ পুলিশ তাদের নির্দেশ পালন করতে বাধ্য হয়েছে। অথবা কিছুই করেনি গায়ে শুধু ইউনিফর্ম থাকার কারণে তিনি হত্যার শিকার হয়েছে। এসব নিরীহ পুলিশ সদস্যরাও কিন্তু আপনাদের পরিবারের সন্তান, কারও ভাই, কারও ছেলে কিংবা কারও আত্মীয়। পুলিশের সদস্যদের প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন ব্যাচের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, গত ১৫ বছর পুলিশ ছিল দলদাস। রাষ্ট্রের কর্মচারী না হয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দলীয় কর্মীর মতো পুলিশ সদস্যদের ব্যবহার করেছে। কর্মকর্তারা শত শত কোটি টাকা কামিয়েছে। এখন মাঠপুলিশ যখন বিপদে পড়েছে, কর্মকর্তারা মাঠ ছেড়ে পালিয়েছে। কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। মাঠে মরছে সাধারণ পুলিশ সদস্যরা। বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালাতে বাধ্য করে দেশবাসীর কাছে ভিলেন করা হয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। এ ছাড়া ছাত্রদের সঙ্গে অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চেয়েছে তারা। বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত ইন্সপেক্টর থেকে অধস্তন কর্মকর্তাদের এই সংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন অফিসার। প্রকৃতপক্ষে নিয়োগের শুরু থেকেই সার্জেন্ট/সাব-ইন্সপেক্টরসহ নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সিনিয়র অফিসারদের অথবা রাজনৈতিক নেতাদের স্বার্থ হাসিলের বাহক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হই, সেটা বৈধ হোক আর অবৈধ। সাধারণ মানুষকে সরাসরি গুলি করতে না চাইলেও সেটা বাধ্য হয়ে করতে হয় দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। আমাদের দেশবাসীর কাছে ভিলেনে রূপান্তরিত করা হয়। আমরা প্রতিটি পুলিশ সদস্য আপনাদেরই কারও না কারও ভাই-বোন-বন্ধু-বাবা-মা বা আত্মীয়স্বজন। দেশের সবাই সহানুভূতিশীল হবেন।
থানার কয়েক হাজার অস্ত্র লুটের শঙ্কা দেশের অধিকাংশ থানায় অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি নির্বিচারে লুটপাট করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশের অস্ত্রের পাশাপাশি থানায় জমা দেয়া বিভিন্ন জনের বৈধ অস্ত্রও লুট হয়েছে। লুণ্ঠিত অস্ত্র চলে গেছে সন্ত্রাসীদের হাতে। পুলিশ সদস্যরা বলছেন, পুলিশ হত্যার পর পুলিশের কাছে থাকা অস্ত্র এবং অস্ত্রাগার লুট করা হয়েছে। এ সময় কয়েক হাজার অস্ত্র ও গুলি চলে গেছে সন্ত্রাসীদের হাতে। থানার হাজতখানা খুলে দেয়ায় বেরিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। কয়েক হাজার ও বিপুল সংখ্যক গুলি সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যাওয়ায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এর মধ্যে যেসব ব্যক্তিদের বৈধ অস্ত্র থানায় জমা দেয়া হয়েছিল তারাও পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে রাইফেল, পিস্তল রিভলভার, শটগানসহ বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশের কোনো পর্যায়ে কর্মকর্তা দায়িত্বে না থাকায় সারাদেশে কী পরিমাণ অস্ত্র লুট হয়েছে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান এখনো জানা যায়নি। ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় শিক্ষার্থীরা : গতকাল ঢাকার রাস্তায় কোনো পুলিশের দেখা মেলেনি। স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড়ে সরেজমিন দেখা যায়, প্রতি মোড়েই আট থেকে দশজন শিক্ষার্থী দায়িত্ব পালন করছেন। সড়কে গাড়িও সুশৃঙ্খলভাবে চলছে। গাড়ির চাপ কম থাকায় অনেকেই উল্টো পথে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। যদিও শিক্ষার্থীরা তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এ ছাড়া হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল আরোহীদের সচেতন করছেন শিক্ষার্থীরা। বাড্ডার লিংক রোডে গতকাল দুপুরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম আকাশ বলেন, রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ নেই। সড়কে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছিল। তাই আমরা ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা পালন করছি। এই বিষয়ে সমন্বয়কদের পক্ষ থেকেও আমাদের বলা হয়েছে। তাই নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছি। থানার নিরাপত্তায় আনসার-ভিডিপি : বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আনসার ও ভিডিপি) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং ঢাকা শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সহকারী পরিচালক (ভিডিপি প্রশিক্ষণ, গণসংযোগ কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে) মো. রুবেল হোসাইনের পাঠানো এক খুদে বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

ভেঙে পড়েছে পুলিশের চেইন অব কমান্ড
- আপলোড সময় : ০৮-০৮-২০২৪ ১২:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৮-০৮-২০২৪ ১২:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ